বইঃ দ্য নেকেড ফেস
লেখকঃ সিডনি শেলডন
অনুবাদকঃ অনীশ দাস অপু
পৃষ্ঠাঃ ১৩৪
প্রকাশনীঃ অনিন্দ্য প্রকাশ
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারী - ২০০৭
কাহিনি সংক্ষেপঃ
হ্যানসন মারা গেল দ্রুত -পিঠে ছুরি খেয়ে। ক্যারলের সারা শরীর অ্যাসিড দিয়ে ঝলছে দিল কে যেন, সীমাহীন নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যু ঘটল তার। নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স এদের দুজনকেই চেনে। এদের মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা হল...
এই দুর্দান্ত রহস্য-উপন্যাসটি সিডনি শেলডনের লেখা প্রথম বই। বছরের সেরা থ্রিলার হিসেবে এ বইকে অভিহিত করেছিল নিউিইয়র্ক টাইমস। আপনি বইটি পড়ুন । একমত হবেন নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া
শেলডনের লেখার অজস্র প্রশংসা শুনে তার বই পড়ার প্রচন্ড আগ্রহ জন্মেছিল অনেক আগেই। আমার বইয়ের আলমারিতে দুইটা বই পড়ে আছে অনেকদিন ধরেই। নিজেই কিনেছিলাম নাকি গিফট পেয়েছি, এখন মনে নাই। একটা বিশেষ কারণে এতদিন পর্যন্ত বইগুলি ধরা হয়নাই। আজকে এক বিকেলে বসে একটা বই পড়ে শেষ করে বুঝলাম, অমূলক ভয় পেয়ে বইগুলি এতদিন ধরিনাই।
একজন সাইকো অ্যানালিস্টের সাথে সম্পর্ক আছে এমন দুইজন একই দিনে খুন হয়ে গেল। সন্দেহের তীরটা পুলিশ তার দিকেই তাক করলো। কিন্তু পরের চ্যাপ্টারে বোঝা গেল, তার নিজের জীবনই বিপন্ন! কিন্তু বেচারা পুলিশকে কিছুতেই বোঝাতে পারছে না, সে দোষী নয়, বরং তাকেই খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জীবন বাজি নিয়ে সে আসল খুনিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। একে সন্দেহ করছে, তাকে সন্দেহ করছে। সেই ডক্টরের সাথে সাথে আমিও একে তাকে সন্দেহ করছি। আবার নিজে পাগল হয়ে গেল কিনা, তাও ভাবছে। ওই সময়টায় আমারো মনে হলো, সত্যিই পাগল হয়ে যায়নি তো? নইলে পুলিশ এসে তার আততায়ীকে খুঁজতে গেলে, সব প্রমাণ উল্টোপাল্টা হয়ে যায় কেন? তার নিজের দিকেই আঙ্গুল উঠে কেন?
জোরালো সন্দেহ করবো, এমন কাওকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত রহস্য গল্পে যা হয়, এমন একজন এসবে যুক্ত থাকে, যাকে সন্দেহের আওতায় ফেলাই হয়নি!
প্রতি পেজেই টান টান উত্তেজনা ছিল। এক বসায় শেষ করে ফেলার মত বই। কিন্তু বেচারা ডক্টরকে এত হেনস্তা করার কারণটাকে ঠিক যুৎসই মনে হয়নাই আমার। আবার এই বইকে "বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস" অ্যাখ্যা দেবার মতোও মনে হয়নাই। বইটা অবশ্যই খুব ভালো, কিন্তু যেমনভাবে বলা হয়েছে তেমনটা নয়।
অনীশদার অনুবাদ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বহু আগে থেকেই একজন দক্ষ অনুবাদক।
তবে একটা প্রশ্ন আছে। বইটা কি সেবা-রূপান্তরের মত কাটছাঁট করা হয়েছে, নাকি এর মূল কপিটা এই কলেবরেরই?
বইয়ের ট্যাগঃ
দ্য নেকেড ফেস : বছরের সেরা থ্রিলার / মূল, সিডনি শেলডন ; রুপান্তর ...,দ্য নেকেড ফেস বা নগ্নমুখ - সিডনি শেলডন / মামনুন শফিক - Free Bangla
লেখকঃ সিডনি শেলডন
অনুবাদকঃ অনীশ দাস অপু
পৃষ্ঠাঃ ১৩৪
প্রকাশনীঃ অনিন্দ্য প্রকাশ
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারী - ২০০৭
কাহিনি সংক্ষেপঃ
হ্যানসন মারা গেল দ্রুত -পিঠে ছুরি খেয়ে। ক্যারলের সারা শরীর অ্যাসিড দিয়ে ঝলছে দিল কে যেন, সীমাহীন নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যু ঘটল তার। নিউইয়র্কের বিখ্যাত সাইকোঅ্যানালিস্ট জাড স্টিভেন্স এদের দুজনকেই চেনে। এদের মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করা হল...
এই দুর্দান্ত রহস্য-উপন্যাসটি সিডনি শেলডনের লেখা প্রথম বই। বছরের সেরা থ্রিলার হিসেবে এ বইকে অভিহিত করেছিল নিউিইয়র্ক টাইমস। আপনি বইটি পড়ুন । একমত হবেন নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া
শেলডনের লেখার অজস্র প্রশংসা শুনে তার বই পড়ার প্রচন্ড আগ্রহ জন্মেছিল অনেক আগেই। আমার বইয়ের আলমারিতে দুইটা বই পড়ে আছে অনেকদিন ধরেই। নিজেই কিনেছিলাম নাকি গিফট পেয়েছি, এখন মনে নাই। একটা বিশেষ কারণে এতদিন পর্যন্ত বইগুলি ধরা হয়নাই। আজকে এক বিকেলে বসে একটা বই পড়ে শেষ করে বুঝলাম, অমূলক ভয় পেয়ে বইগুলি এতদিন ধরিনাই।
একজন সাইকো অ্যানালিস্টের সাথে সম্পর্ক আছে এমন দুইজন একই দিনে খুন হয়ে গেল। সন্দেহের তীরটা পুলিশ তার দিকেই তাক করলো। কিন্তু পরের চ্যাপ্টারে বোঝা গেল, তার নিজের জীবনই বিপন্ন! কিন্তু বেচারা পুলিশকে কিছুতেই বোঝাতে পারছে না, সে দোষী নয়, বরং তাকেই খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জীবন বাজি নিয়ে সে আসল খুনিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। একে সন্দেহ করছে, তাকে সন্দেহ করছে। সেই ডক্টরের সাথে সাথে আমিও একে তাকে সন্দেহ করছি। আবার নিজে পাগল হয়ে গেল কিনা, তাও ভাবছে। ওই সময়টায় আমারো মনে হলো, সত্যিই পাগল হয়ে যায়নি তো? নইলে পুলিশ এসে তার আততায়ীকে খুঁজতে গেলে, সব প্রমাণ উল্টোপাল্টা হয়ে যায় কেন? তার নিজের দিকেই আঙ্গুল উঠে কেন?
জোরালো সন্দেহ করবো, এমন কাওকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত রহস্য গল্পে যা হয়, এমন একজন এসবে যুক্ত থাকে, যাকে সন্দেহের আওতায় ফেলাই হয়নি!
প্রতি পেজেই টান টান উত্তেজনা ছিল। এক বসায় শেষ করে ফেলার মত বই। কিন্তু বেচারা ডক্টরকে এত হেনস্তা করার কারণটাকে ঠিক যুৎসই মনে হয়নাই আমার। আবার এই বইকে "বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস" অ্যাখ্যা দেবার মতোও মনে হয়নাই। বইটা অবশ্যই খুব ভালো, কিন্তু যেমনভাবে বলা হয়েছে তেমনটা নয়।
অনীশদার অনুবাদ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বহু আগে থেকেই একজন দক্ষ অনুবাদক।
তবে একটা প্রশ্ন আছে। বইটা কি সেবা-রূপান্তরের মত কাটছাঁট করা হয়েছে, নাকি এর মূল কপিটা এই কলেবরেরই?
বইয়ের ট্যাগঃ
দ্য নেকেড ফেস : বছরের সেরা থ্রিলার / মূল, সিডনি শেলডন ; রুপান্তর ...,দ্য নেকেড ফেস বা নগ্নমুখ - সিডনি শেলডন / মামনুন শফিক - Free Bangla
0 comments:
Post a Comment